হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন। প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়: “২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ চীন ও রাশিয়ার উত্থাপিত ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের প্রযুক্তিগত মেয়াদ বৃদ্ধির খসড়া পাস করতে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি দাবি করেছে, ওই প্রস্তাব অনুযায়ী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এ বিষয়ে চীনের অবস্থান কী?”
গুও জিয়াকুন জবাবে বলেন, “প্রস্তাবটির লক্ষ্য ছিল কূটনৈতিক আলোচনার জন্য আরও সময় তৈরি করা এবং রাজনৈতিক সমাধানের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা। কিন্তু ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চাপিয়ে দেওয়া মোটেও গঠনমূলক নয়; বরং এটি ইরান পরমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের পথকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সরে যাওয়া-ই বর্তমান সঙ্কটের মূল কারণ। ইরান পরমাণু ইস্যুর একমাত্র কার্যকর সমাধান হলো রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথে শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি। আমরা বলপ্রয়োগের হুমকি, নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং চাপ প্রয়োগের নীতি প্রত্যাখ্যান করি। চীন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাজনৈতিক আন্তরিকতা প্রদর্শন, আরও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো এবং ইরান ইস্যুকে পুনরায় সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানায়। চীন একটি নিরপেক্ষ ও ন্যায্য অবস্থান বজায় রেখে সব পক্ষের বৈধ উদ্বেগকে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান খুঁজতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।”
এদিকে, JCPOA মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ফেরানোর ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সফর শেষে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা সম্পূর্ণ অর্থহীন প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি জানান, “আমি ৩১টিরও বেশি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং এ সময় পরমাণু ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে।”
আরাকচি আরও বলেন, “তেহরান সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বার্তা বিনিময় করেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ নয়—যেমন সর্বোচ্চ নেতা আগে থেকেই সতর্ক করেছিলেন।”
আপনার কমেন্ট